পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরে সাধারণ ধর্মঘট
মুক্তআলো২৪.কম

পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরে সাধারণ ধর্মঘট
পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরের রাস্তাগুলো সোমবার ছিল জনমানবশূন্য। বন্ধ ছিল দোকানপাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি অফিস। গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে ফিলিস্তিনিরা এই সাধারণ ধর্মঘট পালন করে। এএফপি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
১৯৬৭ সাল থেকে ইসরায়েল দখল করে রাখা পশ্চিম তীরজুড়ে দোকান, স্কুল ও বেশির ভাগ সরকারি প্রশাসনিক কার্যালয় এদিন বন্ধ ছিল। ফিলিস্তিনের বেথলেহেম শহরের দোকানদার ফাদি সাদি এএফপিকে বলেন, ‘আজ পুরো শহর ঘুরে দেখেছি, একটি দোকানও খোলা পাইনি।’
ফাতাহ, হামাসসহ বিভিন্ন ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর একটি জোট এই ধর্মঘটের ডাক দেয়। তারা বলেছে, ‘আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও চলমান হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদেই এই ধর্মঘট।
এই ধর্মঘটের আহ্বান জানানো হয়েছে ‘অধিকৃত সব ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড, শরণার্থীশিবির ও আমাদের সংগ্রামে সংহতি জানানো সব জায়গায়’।
চলতি বছরের ১৮ মার্চ হামাসের সঙ্গে প্রায় দুই মাসের যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজায় ফের বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। তার পর থেকে প্রতিদিনই সেখানে নিহত হচ্ছে বহু ফিলিস্তিনি। জেরুজালেমের ওল্ড সিটির এক স্যুভেনির দোকানের মালিক ৬৮ বছর বয়সী ইমাদ সালমান বলেন, ‘আজ আমরা গাজার পরিবার, আমাদের সন্তানদের কথা ভেবে দোকান বন্ধ রেখেছি।
জেরুজালেম বা পশ্চিম তীরে আমাদের করার বেশি কিছু নেই, শুধু এটুকুই পারি।’
ইসরায়েলের দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমের সাধারণত ব্যস্ত সালাহেদ্দিন সড়কও এদিন ছিল পুরোপুরি ফাঁকা। পূর্ণ পরিচয় প্রকাশ করতে না চাওয়া আহমেদ নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘এই ধর্মঘট গাজা ও ফিলিস্তিনের জনগণের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধের প্রতিবাদে। হোক তা ট্রাম্প, নেতানিয়াহু, ইসরায়েলি সরকার বা যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে—এই যুদ্ধ থামাতেই হবে। এই যুদ্ধ, এই হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংস থামাতে হবে।
শুধু শান্তি—শান্তি আর শান্তিই বিজয়ী হোক।’
ধর্মঘটের অংশ হিসেবে সোমবার রামাল্লার কেন্দ্রস্থলে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিরও আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সদর দপ্তর অবস্থিত। রামাল্লার কমিউনিটি সংগঠক ইসসাম বেকার বলেন, ‘এবারের ধর্মঘট গুরুত্বপূর্ণ এবং জনগণের অংশগ্রহণও তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ ইসরায়েলি আগ্রাসন এখন প্রতিটি ফিলিস্তিনি পরিবারকে স্পর্শ করেছে, হোক তা পশ্চিম তীরে বা গাজায়।’
একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, ‘পশ্চিম তীরজুড়ে আজকের মতো এই মাত্রার পূর্ণ ধর্মঘট আমরা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর আর দেখিনি।’
গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরেও সহিংসতা বেড়েছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনা ও বসতি স্থাপনকারীদের হাতে ৯১৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন যোদ্ধা। অন্যদিকে ফিলিস্তিনিদের হামলা ও সেনা অভিযানের সময় সংঘর্ষে অন্তত ৩৩ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে সেনা সদস্যও রয়েছেন।
মুক্তআলো২৪.কম
- নেপথ্যে থেকে যাওয়া কিছু রহস্য মনিকার মুখ খোলার গল্প!
- ফিরোজা বেগমের মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন পশ্চিমের আকাশ
- বেনাপোল সীমান্তে কড়া নিরাপত্তা ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে
- মোশাররফকে জবাব দেবেন মোদি নিউ ইয়র্কে শরীফকে বয়কট করে
- ১৮ লাখ রুপি সঞ্চয় ভিক্ষা করে!
- সাবেক নেতা ঝু ইয়ংক্যাং আটকচীনা কমিউনিস্ট পার্টির
- ইসরায়েলের ২৫০ কোটি ডলার খরচ গাজায় ৫০ দিনের যুদ্ধে
- গিনেজ বুকে এসএমএস লিখে!
- বিশ্বের প্রথম সুস্থ পান্ডা ট্রিপলেটের জন্ম হলো চীনে
- এস.এন.সি.এফ. এর ধর্মঘট স্থগিত
- গণহত্যা চলছেই নিহত ৬৮৭
তীব্র প্রতিরোধের মুখে ইসরায়েল গাজায় হামাসের - ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশেষে অচলাবস্থা নিয়ে পিছু হটলেন
- মোদি সরকার কেমন হবে
- আইএসকে ৩ বছরে নির্মূল করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র
- ৭৮ লাখ টাকায় মালালার ছবি বিক্রি