ঢাকা, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ || ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Breaking:
রাজশাহীগামী বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: ৩ দিন পর থানায় মামলা     
Mukto Alo24 :: মুক্ত আলোর পথে সত্যের সন্ধানে
সর্বশেষ:
  ইতিহাস নির্মম, কাউকে ছাড় দেয় না : জামায়াত আমির        ‘আবার যদি ফ্যাসিজমের উত্থান হয় একুশের চেতনাই তা রুখবে’        একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধান উপদেষ্টার     
৩৩

রাজশাহীগামী বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: ৩ দিন পর থানায় মামলা

মুক্তআলো২৪.কম

প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫  

রাজশাহীগামী বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: ৩ দিন পর থানায় মামলা

রাজশাহীগামী বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: ৩ দিন পর থানায় মামলা


চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনার তিনদিন পর টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাসের যাত্রী নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চকবড়াইগ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে ওমর আলী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলা নম্বর ১৭।

গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে ঢাকা-রাজশাহী-চাপাই রোডে রাজশাহীগামী আমরি ট্রাভেলসের ‘ইউনিক রোড রয়েলস’ (ময়মনসিংহ-ব-১১-০০১১) নামের একটি বাসে প্রায় তিন ঘণ্টা নির্যাতন চালিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে সর্বস্ব লুটে নেয় ডাকাতদল।
এ সময় নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানি করে ডাকাত সদস্যরা। 

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ডাকতির ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে কাজ করছেন। 

গত সোমবার রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে আসা ইউনিক রোড রয়েলস নামের একটি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
যাত্রীদের ভাষ্যমতে, সোমবার রাত ১১টায় ঢাকার গাবতলী থেকে বাস ছাড়ে। রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে বাসে ডাকাতি শুরু হয়। ডাকাতরা বাসটি তিন ঘণ্টা ধরে ঘুরিয়ে একই জায়গায় নিয়ে গিয়ে রাত ৩টা ৫২মিনিটে তারা নেমে যায়। বাস না চালাতে চালক, তার সহকারী ও সুপারভাইজার নানান টালবাহানা করতে থাকেন।
তারা বলেন, গাড়িতে তেল নেই। কিন্তু যাত্রীদের চাপের মুখে তারা রাজশাহীর উদ্দেশে বাস ছাড়েন। যাত্রীরা প্রথমে বাসটি নিয়ে মামলা করার জন্য মির্জাপুর থানায় যান। সেখানে তখন ওসি না থাকায় তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে বড়াইগ্রামে থানা পুলিশ বাসটি আটক এবং বাসের সুপারভাইজার, চালক ও চালকের সহকারীকে গ্রেপ্তার করেন।
বুধবার তাদেরকে আদালতে পাঠানো হলে তারা জামিনে মুক্তি পান।

এ ঘটনার পর ১৮ ফেব্রুয়ারি নাটোরের বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই বাসের চালক বাবলু আলী (৩০), চালকের সহকারী মাহবুব আলম (২৮) ও সুপারভাইজার সুমন ইসলামকে (৩৩) আটক করা হয়। পরে ১৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে পাঠালে তারা জামিনে ছাড়া পান বলে জানায় পুলিশ। চালক বাবুল রাজশাহীর বোয়ালিয়া উপজেলার শাহমখদুম কলেজ এলাকার বাসিন্দা। মাহবুব উপজেলার পূর্ব কাঁঠালিয়া গ্রামের এবং সুমন ইসলাম সাধুর মোড় গ্রামের বাসিন্দা।







মুক্তআলো২৪.কম

 
আরও পড়ুন
জেলা খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত