ঢাকা, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ || ৩ আশ্বিন ১৪৩১
Breaking:
ড. ইউনূসের প্রথম একনেক সভায় অনুমোদন পেলো ৪ প্রকল্প      বিশ্বব্যাংক ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইসার আজ আসছেন     
Mukto Alo24 :: মুক্ত আলোর পথে সত্যের সন্ধানে
সর্বশেষ:
  বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া        সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার কারণ জানালেন আসিফ নজরুল        ফ্যাসিবাদে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে : তথ্য উপদেষ্টা        যেসব পুলিশ সদস্য এখনো কর্মস্থলে যোগদান করেনি, তাদের আর যোগদান করতে দেওয়া হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা     
৫৩

রাষ্ট্র সংস্কারে কমিশন গঠন জন মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন :

প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪  

রাষ্ট্র সংস্কারে কমিশন গঠন জন মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন : এটর্নি জেনারেল

রাষ্ট্র সংস্কারে কমিশন গঠন জন মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন : এটর্নি জেনারেল


এটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগে যে ছয়টি কমিশন গঠন করেছে তাতে জন মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে। 

সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘শুধু আমাদের দেশে নয় পৃথিবীব্যাপি তিনটি বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ। তা হলো আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগ।’ 
এটর্নি জেনারেল বলেন, আমাদের বিচার বিভাগের সংস্কার প্রয়োজন। কেননা বিচার বিভাগ তার কার্যক্রমে সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগ করে। প্রজাতন্ত্রের অন্য কোনো বিভাগের সঙ্গে বিচার বিভাগকে মিলানোর কোনো সুযোগ নেই। বিচার বিভাগ তার কার্যক্রমে সার্বভৌম ক্ষমতার প্রয়োগ করবে। এটি নিয়ে মাসদার হোসেন মামলার রায়ের কথা উল্লেখ করেন এটর্নি জেনারেল। 
তিনি বলেন, বিগত সরকারের সময় নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালত পর্যন্ত বিচার বিভাগের ওপর অন্য বিভাগের হস্তক্ষেপ ছিল। বিগত সময়ে গণতন্ত্র হত্যা লুটপাটের বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করেছেন তারা আদালতে ন্যায়বিচার পাননি। সেখানেও তারা হয়রানির শিকার হয়েছেন। বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা ভুলেই গিয়েছিলেন যে তারা সার্বভৌম ক্ষমতার প্রয়োগ করতে পারেন। তারা নিজেদেরকে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী ভাবতেন।  
সরকারের সংস্কারের উদ্যোগে সকলকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের কারণেই কার্যত বাংলাদেশের আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগ এক ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছে বলে মনে করেন এটর্নি জেনারেল। সংবিধান সংস্কার কমিশন বিষয়গুলো দেখবেন বলে এসময় আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এটর্নি জেনারেল বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিকভাবে উল্লেখযোগ্য কোনো ক্ষমতা নেই। রাষ্ট্রপতি দু’টি ক্ষমতা প্রয়োগ করেন ১. প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ ২. প্রধান বিচারপতি নিয়োগ। তাতেও প্রধানমন্ত্রী সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। প্রক্রিয়া শেষে তিনি নিয়োগ ও শপথ পড়ান। তিনি নিজে নিজে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিতে পারেন না। বিগত সময়ে দেখা গেছে সরকারের সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয়ার ক্ষমতাও তিনি প্রয়োগ করতে পারেন না। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্যের বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন এটর্নি জেনারেল।  

 
আরও পড়ুন
জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত