নীতিমালায় অবশ্যই পরিবর্তন দরকার সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের :

মুক্তআলো২৪.কম

মুক্ত আলো

প্রকাশিত : ১২:২০ এএম, ২৩ মে ২০২৪ বৃহস্পতিবার

সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের নীতিমালায় অবশ্যই পরিবর্তন দরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের নীতিমালায় অবশ্যই পরিবর্তন দরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী


সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষেত্রে যে নীতিমালা রয়েছে, সেটি আমাদের দেশের সঙ্গে ‘অসামঞ্জস্যপূর্ণ’ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘নীতিমালায় বলা হচ্ছে, সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প করতে হলে প্রতি মেগাওয়াটের জন্য ৩ একর জমি দেখাতে হবে, কিন্তু ১ দশমিক ৬ একরে ১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। অবশ্যই এই নীতিমালা পরিবর্তন করা দরকার। বাংলাদেশ ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এমন অসামঞ্জস্য নীতি থাকতে পারে না।’

আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ২৪তম ন্যাশনাল রিনিউবেল এনার্জি কনফারেন্স অ্যান্ড গ্রিন এক্সপো-২০২৪ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। দুই দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান যৌথভাবে আয়োজন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব এনার্জি এবং গ্রিনটেক ফাউন্ডেশন। 
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পলিসির পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে। আমি শক্তভাবে এ নীতিমালার পরিবর্তন চাই। আবার লিড পার্টনার নিয়েও অসংগতি রয়েছে।’ 

দেশের আবহাওয়া পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশে সাইক্লোন ও ঘূর্ণিঝড় আরও বেড়েছে। এটি আগের তুলনায় অতিমাত্রায় ঘটছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ৮০ শতাংশ দায়ী জলবায়ু পরিবর্তন। বহু বছর ধরে আলোচনা করে ২০১৫ সালে প্যারিস চুক্তি করা হয়। সব প্রতিশ্রুতি যদি বাস্তবায়ন হয়, কার্বন নিঃসরণ যদি কমানো যায়, তাহলেও ৩ শতাংশ বাড়বে, এটি বাড়লে কী দাঁড়াবে!’ 

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা টেনে মন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর গড় কার্বন নিঃসরণ ৬ দশমিক ৭৯ টন। আর যুক্তরাষ্ট্রে ১৭ দশমিক ৯ টন, চীন ১০ দশমিক ৯৫ টন। আর আমাদের মাত্র ১ দশমিক ২৯ টন। কিছু দেশ জিরো নিঃসরণে গেছে।’ 

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশসহ ৫২টি দেশ কার্বন নিঃসরণের জন্য ভিকটিম। কিন্তু এ দেশগুলো এর জন্য দায়ী নয়। যেসব দেশ দায়ী, তারা একটি প্রতিশ্রুতিও পূরণ করেনি।’ 

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয় মো. আখতার হোসেন বলেন, ‘এসডিজিতে বাংলাদেশ অনেক ভালো করেছে। র‍্যাঙ্কিংয়ে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছে। বাংলাদেশ ১০১তম আর ভারতের র‍্যাঙ্কিং ১১২তম।’ 
এ অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গ্রিনটেক ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা খন্দকার মোর্শেদ মিল্লাত। আরও বক্তব্য দেন স্রেডার চেয়ারম্যান মুনিরা সুলতানা, ইডকলের সিইও আলমগীর মোর্শেদ, বাংলাদেশ সোলার অ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসআরইএ) সভাপতি নুরুল আক্তার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব এনার্জি এর পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ডঃ নাফিস শামস ্প্রমুখ।

 








মুক্তআলো২৪.কম