বিএফডিসিতে অঞ্জনার প্রথম জানাজা সম্পন্ন

মুক্তআলো২৪.কম

মুক্ত আলো

প্রকাশিত : ০৭:১১ পিএম, ৪ জানুয়ারি ২০২৫ শনিবার

বিএফডিসিতে অঞ্জনার প্রথম জানাজা সম্পন্ন

বিএফডিসিতে অঞ্জনার প্রথম জানাজা সম্পন্ন


না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান। শুক্রবার দিনগত রাত ১টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। আজ দুপুরে অভিনেত্রীর প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়েছে বিএফডিসিতে। যেখানে তাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিনোদন অঙ্গনের ব্যক্তিত্বরা।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টায় অভিনেত্রীর মরদেহবাহী গাড়িটি প্রবেশ করে চলচ্চিত্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন-বিএফডিসির ভেতরে। সেখানে অঞ্জনাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পরিচালক ছটকু আহমেদ, নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী, শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য ও অভিনেতা সনি রহমানসহ চলচ্চিত্র ও অভিনয় জগতের অনেকে।

ওই সময় অঞ্জনার ছেলে নিশাত রহমান মনি জানান, বাদ জোহর এফডিসিতে জানাজা শেষে অভিনেত্রীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তেজগাঁওয়ে চ্যানেল আই প্রাঙ্গনে। সেখানে আরেকবার জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে শেষ শয্যায় শায়িত হবেন অঞ্জনা।
মায়ের অসুস্থতা নিয়ে মনি বলেন, ‘আম্মু সুস্থ ছিল, জ্বর আসত আবার চলে যেত। ১৫ দিন আগে বাসায় মেহমান এসেছিল সবাইকে নিজ হাতে রান্না করে খাইয়েছে। তারপরই অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল। সাধারণ জ্বর ভেবে ওষুধ খাচ্ছিল, হাসপাতালে যেতে চাইত না।
অসুস্থতা বাড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গত চারদিন আগেও আইসক্রিম খেতে চেয়েছিল।’

কান্নায় ভেঙে পড়ে মনি বলেন, ‘আমার সারাজীবনের আফসোস থাকবে। আমি কখনো বুঝতেই পারিনি আম্মুর ভেতরে এমন অসুস্থতা ছিল। এমন সুস্থ একজন মানুষের ভিতরে এতটা অসুখ কীভাবে বাঁধল।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বেশ সুপরিচিত মুখ ছিলেন চিত্রনায়িকা অঞ্জনা। নৃত্যশিল্পী থেকে নায়িকা হয়ে সর্বাধিক যৌথ প্রযোজনা এবং বিদেশি সিনেমায় অভিনয় করা একমাত্র দেশীয় চিত্রনায়িকাও তিনি। ‘দস্যু বনহুর’ দিয়ে তাঁর শুরু। ১৯৭৬ সালের এই সিনেমার পর টানা কাজ করেছেন অঞ্জনা। এ পর্যন্ত তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ‘পরিণীতা’ ও ‘গাঙচিল’-এ অভিনয়ের জন্য দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন।






মুক্তআলো২৪.কম