দ্রুত সংসদ নির্বাচন চায় বাম জোট

মুক্তআলো২৪.কম

মুক্ত আলো

প্রকাশিত : ০৭:৫৮ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ মঙ্গলবার

দ্রুত সংসদ নির্বাচন চায় বাম জোট

দ্রুত সংসদ নির্বাচন চায় বাম জোট


দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বাম জোটের পক্ষ থেকে এ কথা বলা হয়েছে।

বাম জোট নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ‘আমরা আশা করব, দ্রুততম সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখসহ নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করে জনগণের সংশয় নির্বাচন কমিশন দূর করবে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে আমাদের যাত্রা ইতিবাচক ধারায় অগ্রসর হতে থাকবে।’

আজ মঙ্গলবার বিকেলে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাম গণতান্ত্রিক জোটের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ইকবাল কবির জাহিদ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (মার্ক্সবাদী) সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা এবং বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সিপিবি সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘বৈঠকে দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে নির্বাচন কমিশনকে উদ্যোগী ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ স্বস্তি চেয়েছিল, মর্যাদা চেয়েছিল, ভয়মুক্ত পরিবেশ চেয়েছিল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৬ মাসে মানুষ সেই পরিবেশ পাইনি। এখন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা যা সংস্কার করা দরকার তাই করে নির্বাচন সম্পন্ন এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করাই প্রধান কাজ।

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আশা করব, সরকার এই কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন করার দিকে এগোবে। এ কাজে কোনো অজুহাত তৈরি করে টালবাহানা করা হলে তা দেশকে নতুন সংকটের দিকে নিয়ে যেতে পারে।’

বাম জোটের পক্ষ থেকে সিইসি বরাবর লেখা প্রস্তাবে বলা হয়, নির্বাচনে সবার সমান সুযোগের অধিকারের কথাটি সবাই বললেও নির্বাচনকে টাকার খেলা, পেশিশক্তি, ভয়-ভীতি, সাম্প্রদায়িক প্রচার-প্রচারণা, আঞ্চলিকতা ও প্রশাসনিক কারসাজি মুক্ত না করতে পারলে সমসুযোগ সৃষ্টি করা যাবে না। তাই, আমরা মনে করি নির্বাচনী জামানত ৫ হাজার টাকা, প্রচার-প্রচারণাসহ সব দায়দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে গ্রহণ, বিনা মূল্যে ছাপানো ভোটার তালিকা প্রত্যেক প্রার্থীকে সরবরাহ করতে হবে।
এতে আরো বলা হয়, নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরসহ কোনো শর্ত আরোপ করা উচিত নয়। একই ভাবে সংগঠন তৈরি করা সব নাগরিকের একটি সাংবিধানিক অধিকার। নিবন্ধনের শর্ত এই অধিকার কেড়ে নেয়। এই নিবন্ধন প্রথা বাতিল করা উচিত। আর রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের ব্যবস্থা রাখলে তা সহজতর ও শর্তহীন করতে হবে।
প্রস্তাবে বলা হয়, নিজের পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট প্রদানে বাধা প্রদান আইন করে বন্ধ করতে হবে। না ভোট ও প্রার্থী প্রত্যাহারের বিধান করতে হবে। প্রার্থীদের সব তথ্য যাচাই-বাছাই করে জনগণের কাছে উন্মুক্ত করতে হবে। যে দলের প্রার্থী সেই দলের লিখিত ইশতেহারও জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কারো অভিযোগ দায়েরের জন্য অপেক্ষা না করে কমিশন নিজেই সুয়োমোটর ভিত্তিতে আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং নির্বাচনব্যবস্থার ওপর নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি প্রবর্তন করতে হবে।






মুক্তআলো২৪.কম