মোশাররফকে জবাব দেবেন মোদি নিউ ইয়র্কে শরীফকে বয়কট করে
মুক্তআলো২৪.কম অনলাইন
মুক্ত আলো
প্রকাশিত : ০৮:০২ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বুধবার
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পার্শ্ববৈঠকের তালিকায় নেই পাকিস্তান রাষ্ট্রপূঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে।বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এমনকী নেপালও রয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বিদেশযাত্রার ৪৮ ঘণ্টা আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সৈয়দ আকবরুদ্দিন জানিয়ে দিলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে বৈঠকের কোনও পরিকল্পনা নেই ভারতের।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে না বসলেও, মোদি তাঁর মার্কিন সফরে ‘গ্রাউন্ড জিরো’ (৯/১১-র হামলায় ধ্বংস হওয়ার আগে যেখানে ‘ওয়র্ল্ড ট্রেড সেন্টার’ ছিল) দেখতে যাবেন। তাঁর বক্তৃতায় উঠে আসবে সন্ত্রাস এবং মুম্বই হামলার প্রসঙ্গও। এই জাতিসংঘের বক্তৃতাতেই একদা প্রাক্তন পাকিস্তান প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশারফ গুজরাট দাঙ্গার উল্লেখ করে কটুক্তি করেছিলেন মোদিকে। রাজনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, এ বার সেই মঞ্চেই পাকিস্তানকে কার্যত বয়কট করে, পাল্টা জবাব দিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি।
অথচ নিজের শপথ অনুষ্ঠানে নওয়াজ শরীফকে নিমন্ত্রণ করেছিলেন মোদি। কিছুটা অভূতপূর্ব ভাবে প্রথম দিনই উদার হাত বাড়ানো হয়েছিল নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে। নিজের দেশের মোল্লাতন্ত্র এবং কট্টরবাদীদের সঙ্গে পাঞ্জা কষে সেই আমন্ত্রণ রক্ষাও করেন নওয়াজ। দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকে স্থির হয় যে বিদেশসচিব পর্যায়ে ফের আলোচনা শুরু হবে। কিন্তু পাক হাইকমিশনার আব্দুল বসিত কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী হুরিয়ত নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার পরে সেই আলোচনা ভেস্তে যায়। নয়াদিল্লি জানিয়ে দেয়, এই আচরণ শান্তি প্রক্রিয়ার পরিপন্থী।
ইসলামাবাদের দিক থেকে অবশ্য এখনও কূটনৈতিক সম্পর্ক জোড়া লাগানোর চেষ্টা চলছে। পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে কোণঠাসা শরিফ ভারতের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ককে গুরুত্ব দিচ্ছেন। সম্প্রতি তাঁর নির্দেশে এই বসিতই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং বিদেশসচিব সুজাতা সিংহের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে বৈঠক করেন। তবে সেই বৈঠকেও জট খোলেনি।
মোদি চান পাকিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্কের ফলে বাণিজ্যে লাভবান হোক ভারত। এ জন্য ‘ট্র্যাক টু কূটনীতি’ও চলছে। কিন্তু দেশবাসীর আবেগকে অগ্রাহ্য করে, সঙ্ঘ পরিবারের মতামতকে অবজ্ঞা করে এখনই পাকিস্তানের সঙ্গে কথা শুরু করতে চাইছেন না মোদি। বরং কিছুটা কড়া অবস্থানই নিতে চান তিনি।
একই কথা প্রযোজ্য চীনের ক্ষেত্রেও। ভারত-চীন সীমান্তের চুমার এলাকায় ঢুকে পড়া চীনা সেনারা এখনও সরেনি। চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের সফরের পর ভারতীয় নেতৃত্ব ভেবেছিল, এ বার জট খুলবে। কিন্তু তার লক্ষণ এখনও নেই। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, কেন এমন হচ্ছে তা বোঝার চেষ্টা চলছে। সরকারের অনুমতি ছাড়া চীনা সেনারা এ কাজ করছে বলে মনে করছে না সাউথ ব্লক। তার উপর গত কাল চিনফিং তাঁর সেনাবাহিনীকে ‘আঞ্চলিক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার’ ডাক দেওয়ায় পরিস্থিতি ঘোরালো হয়েছে।