বিএনপি বিলীন হয়ে যাবে আগামী নির্বাচনের আগেই: এরশাদ

অনলাইন

মুক্তআলো২৪.কম

প্রকাশিত : ০৯:৩০ এএম, ৬ ডিসেম্বর ২০১৪ শনিবার

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ

নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই,জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বলেছেন। নির্বাচন হবে। কিন্তু কবে হবে আমি জানি না। চার বছর আগে হোক আর পরে হোক নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়ার বিএনপি বিলীন হয়ে যাবে। কোনো দল আর দাঁড়াতে পারবে না। তখন শুধু জাতীয় পার্টি থাকবে।`
দুই দলের দুঃশাসন দেশের জনগণ দেখেছে তা থেকে মানুষ মুক্তি চায়। জাতীয় পার্টিকে আবার ক্ষমতায় দেখতে চায়।`
শুক্রবার রংপুরে মহনগরীর হারাটি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক পথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।এরশাদ বলেন, `দেশের সার্বিক অবস্থা ভাল নয়। দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির এখন চরম অবনতি হয়েছে। চারদিকে অশান্তি। মানুষ শান্তি চায়। তিনি আরো বলেন, `আগামী সংসদ নির্বাচনে সব ক`টি আসন থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিশেষ করে রংপুর বিভাগের সব ক`টি আসনে আমাদের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে চাই। আমি রংপুরর উন্নয়ন করতে চাই। আপনাদের ঋণ শোধ করতে চাই। আপনারা আমাকে বারবার জীবন দিয়েছেন। ভোট দিয়ে জাতীয় পার্টিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।`তিনি বিগত রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বর্তমান সিটি মেয়র সরফুদ্দিন আহম্মেদ ঝন্টুকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, `আগামী সিটি নির্বাচনে মোস্তফাই জয়ী হবে। ঝন্টু তুমি আর জয়ী হতে পারবে না। তোমার সাথে আমার চ্যালেঞ্জ থাকলো।`
এরশাদ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, `সকল বিভেদ ভুলে দলের কাজ করতে হবে। আমরা দল গোছানোর জন্য এখন কাজ করছি। আমাদের দলের ভেতর কোন বিভেদ নাই। খুব শিগগিরই আমরা জেলা ও মহনগরের কাউন্সিল করব।` জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করছে অপশক্তি : খালেদা জিয়া

 

 

 

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক নেতা ঝু ইয়ংক্যাং আটক

মোটা অংকের ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক নেতা ঝু ইয়ংক্যাংকে দল থেকে বহিষ্কার ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ঝু ইয়ংক্যাংকে তাঁর দল থেকে বের করে দিয়ে বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

২০১২ সাল পর্যন্ত চীনের সবচেয়ে আতঙ্ক সৃষ্টিকারীদের একজন হিসেবেই দেখা হতো ঝু ইয়ংক্যাংকে। দুই বছর আগে অবসর নেওয়ার আগে দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থার দায়িত্বে থাকা ঝু চীনের কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ নেতৃত্বদানকারী হিসেবে জায়গা করে নেন। ইতোমধ্যে দুর্নীতি মামলার তদন্তের মুখে পড়েছেন তাঁর অনেক ঘনিষ্ঠ সহচর ও পরিবারের সদস্যরা। ঝু`র বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও তাঁর রাজনৈতিক দল ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য ফাঁস ছাড়াও, দলের শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং বেশ কয়েকজন নারীর সঙ্গে আইনবহির্ভূত সম্পর্ক রাখার অভিযোগে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হয়েছে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, ঝু`র বিরুদ্ধে শুরু হওয়া তদন্ত চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে তাঁর ক্ষমতা ধরে রাখার শক্ত ভিত গড়তে এবং তার সংস্কার প্রস্তাবের বিরোধীতাকারীদের সরিয়ে দেওয়ার পথ প্রশস্ত করবে। একইসঙ্গে কমিউনিস্ট পার্টির ইমেজ উন্নয়নেও সহায়ক হবে। সূত্র: বিবিসি বাংলা