তরুনদের যথাযথ দক্ষতা বিকাশের প্রত্যয় নিয়ে ‘যুব শক্তি এবং সংযোগ’
মুক্তআলো২৪.কম
মুক্ত আলো
প্রকাশিত : ১২:০৩ এএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সোমবার
তরুনদের যথাযথ দক্ষতা বিকাশের প্রত্যয় নিয়ে ‘যুব শক্তি এবং সংযোগ’
তরুণদের ইতিবাচক মনোভাব এবং যথাযথ দক্ষতা বিকাশের প্রত্যয় নিয়ে ‘যুব শক্তি এবং সংযোগ’ ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাজধানী গুলশানের স্পেক্টা কনভেনশন সেন্টারে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে দিনব্যাপী একটি মোটিভেশনাল সেশনের আয়োজন করে।
‘দক্ষতা উন্নয়ন, উদ্যোক্তা তৈরি এবং তারুণ্যনির্ভর ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ’- শীর্ষক সেশনের গ্র্যান্ড ইভেন্টে তরুণদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত, বিশেষ অতিথি ডা. আব্দুন নূর তুষার, ডা. নুজহাত চৌধুরী ও অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।
‘যুব শক্তি এবং সংযোগ’ প্রতিষ্ঠানটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ এ. আরাফাত বলেন, অবশ্যই ভাল লেখাপড়া এবং উন্নত ক্যারিয়ারের এম্বিশন, ভিশন-তো থাকবেই আর আমরা ভাল যা কিছুই করি না কেন তার জন্য প্রয়োজন একটি সুন্দর পরিবেশ, একটি সুষ্ঠ সমাজ। তাই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, দেশের প্রতি ভালবাসা। কেন না সমাজের পরিবেশ যদি ঠিক না থাকে তাহলে আমাদের যোগ্যতা, মেধা, ক্যারিয়ার কিছুই সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, বড় বড় স্বপ্ন দেখবো কিন্তু স্বপ্ন পূরণের জন্য কাজ না করলে স্বপ্ন কোনদিনই পূরণ হবে না। তাই হাল না ছেড়ে পরিশ্রম করে যেতে হবে সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে। নিরপেক্ষ থেকে কিছু অর্জন করা যায়। সত্য এবং মিথ্যার মাঝে নিরপেক্ষ থাকার কোন সুযোগ নেই। বঙ্গবন্ধুও তাই ছিলেন। তিনি ন্যায়’কে ‘ন্যায়’ আর অন্যায়কে ‘অন্যায়’ বলতেন।
মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব ডা. আব্দুন নূর তুষার বলেন, উপার্জন এবং অর্জন এক নয়। যদি তুমি সৎভাবে অর্থ উর্পাজন করতে পারো, সেই অর্থ মানুষের জন্য ব্যয় করতে পারো তবেই তা অর্জন। তোমার কত বড় গাড়ি আছে তার চেয়ে তুমি মানুষ হিসেবে কত বড় তা গুরুত্বপূর্ণ।
শহীদ কণ্যা ডা. নুজহাত চৌধুরী বলেন, তুমি বটবৃক্ষ হতে চাও না কচুরিপানা- সেই সিদ্ধান্ত তোমার। বটবৃক্ষ হতে হলে শ্রম, সময় এবং সাধনার প্রয়োজন। আর কচুরিপানা, তা তো শ্রোতে ভেসে যায়। পেশাসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে সততা, ত্যাগ ও নিষ্ঠার প্রয়োজন। তাহলেই এক সময় বটবৃক্ষে পরিনত হওয়া সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনী থেকে আমাদের তরুণদের অনেক শিক্ষা নেবার প্রয়োজন রয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল তারুণ্যের শক্তির কথা মনে করিয়ে দিতে গিয়ে বলেন, তারুণ্যই বদলে দিতে পারে একটি সমাজ একটি রাষ্ট্র। তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ হচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ২৭ বছর বয়ছে স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি স্বাধীন বাংলাদেশের। সেই সময়ের আন্দোলন সংগ্রামে তার যে অবদান সবটুকুই হয়েছে তার তরুণ বয়েসে। বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয় তখন বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চারনেতা এবং তাদের রাজনৈতিক সহকর্মী সবার বয়সই কিন্তু ৫৫ বছরের নিচে ছিল। তারুণ্যের শক্তির উপর ভর দিয়ে আজ আমরা স্বাধীন দেশে বসবাস করছি। দেশকে উন্নত এবং আদর্শ রাষ্ট্রে পরিনিত করার দায়িত্ব এখন তোমাদের মতো তরুণদের।
দিনব্যাপী সেশনে তরুণ শিক্ষার্থীদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, তরুণদের প্রস্ততি, উদ্যোক্তা সিমুলেশন, তরুণদের মধ্যে স্বচ্ছতা, যোগাযোগ উন্নয়ন, সৃজনশীলতা ইত্যাদি বিষয়ের উপর মোটিভেশনাল বক্তব্য রাখেন মো. আব্দুল কাইয়ুম, মো. তৌহিদুর রহমানসহ সেশনে আমন্ত্রিত বিশিষ্টজনেরা এবং দুই সফল উদ্যোক্তার সফলতার গল্প তরুণদের মাঝে তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে ‘যুব শক্তি এবং সংযোগ’ এর প্রেসিডেন্ট জামি আল ফারাবির বক্তব্য সবাইকে প্রাণিত করে। সেশনটি উপস্থাপনা করেন ‘আজ সারাবেলা’ সম্পাদক জব্বার হোসেন।সূত্রঃঅনলাইন।
মুক্তআলো২৪.কম