সম্পাদকীয়

আজ শুক্রবারের জুম্মার খুতবা এবং আমাদের সজাগ দৃষ্টি

মোঃসরোয়ার জাহান

মুক্ত আলো

প্রকাশিত : ১২:৩৬ এএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ শুক্রবার


সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে চলা দাঙ্গা এবং তারা আচ কেন স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে আসবে?বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবর্ষে নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করা হোক এরকম দাবি উঠেছে।

ফেসবুকে দেখলাম কিছু মুজিব আদর্শবাদী তারাও নরেন্দ্র মোদি আমন্ত্রণ ফিরিয়ে নেওয়া হোক সেই দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন।আর বাকি রইল জামাত ও বিএনপি তারা খুবই আনন্দিত আত্মহারা হয়েছে।কারণ ভারতের দাঙ্গার ইস্যুটাকে কোনভাবে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে যদি অস্থিতিশীল করা যায়! বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে যেন বাধাগ্রস্থ করা যায়। সেই দুটো চাল চক্রান্ত শুরু হয়ে গেছে অলরেডি।

বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর ত্যাগের বিনিময়ে ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে দু লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত।বঙ্গবন্ধু যে পররাষ্ট্রনীতি আমাদের দিয়ে গেছেন আমরা সেটি অনুসরণ করে চলবো।ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে আমাদের মাথা ঘামানোর কিছু নেই, আমরা সেই দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সাহায্য করতে পারি, এমন মনোভাব আমাদের বর্তমানে লালন করতে হবে।


বাংলাদেশের একজন সাধারন নাগরিক হিসাবে মনে করি, বাংলাদেশ সরকারের এই ব্যাপারে যথেষ্ট সর্তক থাকতে হবে।আজ শুক্রবার জুম্মার খুতবা সেটার দিকে সরকারকে অবশ্যই যথেষ্টদৃষ্টি রাখতে হবে। কারণ খুতবায় যেন উস্কানিমূলক কোন শব্দ ব্যবহারে সম্মানিত ইমাম গণ বিরত থাকেন।কারন একজন শান্তিপ্রিয় মানুষ হিসেবে ,কোন ভাবেই চাই না, পার্শ্ববর্তী দেশের কোনো দাঙ্গা-হাঙ্গামা আচ আমাদের এই মাতৃভূমি সোনার বাংলাদেশ পড়ুক।

আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের যোগ্য উত্তরসূরী মানবতার জননী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন এবং অগ্রগতি সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করার জন্য এবং মুজিববর্ষ কে বরণ করার জন্য যে প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের সজাগ দৃষ্টি রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।