ফার্মাসিস্টদের জরুরী স্বাস্থ্যসেবায় অন্তর্ভুক্তিকরণ
লেখক:সাদেকুর রহমান
মুক্ত আলো
প্রকাশিত : ০৮:০৬ পিএম, ১০ এপ্রিল ২০২০ শুক্রবার
সাদেকুর রহমান , ফার্মাসিস্ট
সাদেকুর রহমান:
ফার্মাসিস্ট মানে হল ড্রাগ থেরাপির বিশেষজ্ঞ।ফার্মাসিস্টের দায়িত্ব : রোগীদের সরবরাহিত ওষুধের মান যাচাই, রোগীদের জন্য নির্ধারিত ওষুধগুলি উপযুক্ত কিনা তা নিশ্চিত করা, রোগীদের ওষুধ কীভাবে গ্রহণ করা উচিত, কী প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে এবং রোগীদের প্রশ্নের জবাব দেওয়া।
কমিউনিটি এবং হাসপাতালের ফার্মেসী ১৯৮৮ সালের অক্টোবরে মাদ্রিদে আয়োজিত ইউরোপের জন্য ডাব্লুএইচও আঞ্চলিক অফিস আয়োজিত একটি বৈঠকের খসড়া রিপোর্ট নিচে বর্ণনা করা হল:
১. সম্প্রদায় এবং হাসপাতালগুলির মধ্যে চিকিত্সক এবং ফার্মাসিস্টদের ওষুধ ব্যবহারের পছন্দ সম্পর্কে সাধারণ পদ্ধতি স্থাপনের জন্য একত্রে কাজ করা উচিত, এবং চিকিত্সক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের পরামর্শ দেওয়ার ক্ষেত্রে ফার্মাসিস্টের ভূমিকা সম্প্রদায়ের যত্নের পাশাপাশি উন্নত করা উচিত হাসপাতাল।
২. ফার্মাসিস্টকে রোগীদের ও ওষুধের ব্যবহার সম্পর্কে সাধারণ জনগণের পরামর্শ ও তথ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করতে হবে এবং পরামর্শ ও তথ্যের বিধানে রোগীদের প্রতি একটি সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চিত করতে ফার্মাসিস্টকে ব্যবস্থাপত্রেদের সাথে কার্যকরভাবে সহযোগিতা করা উচিত ।
৩. ফার্মাসিস্টদের ওষুধের যৌক্তিক ব্যবহারের প্রচারের জন্য একটি বহুমাত্রিক পদ্ধতিতে অংশ নেওয়া উচিত।
৪. ফার্মাসিস্টদের রোগীদের এবং সাধারণ জনগণকে ওষুধের অযাচিত প্রভাব সম্পর্কে পর্যাপ্ত পরিমাণে অবহিত করা উচিত এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের এবং উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় এ জাতীয় অযাচিত প্রভাব এবং তার পরিণতি পর্যবেক্ষণ করা উচিত।
৫. ফার্মাসিস্টদের স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার প্রচার ও অসুস্থতা প্রতিরোধে অবদান রাখতে হবে, স্ক্রিনিংয়ের
ক্রিয়াকলাপগুলিতে অংশ নেওয়া যেমন উদাহরণস্বরূপ রক্তচাপ নির্ধারণ এবং রক্তে শর্করার সংকল্প নির্ধারণের জন্য।
আসুন এবার আমাদের দেশের বাস্তবচিএ পর্যালোচনা করি।করোনা মহামারী আকার ধারন করছে। প্রতিদিন করোনা ভাইরাসের রোগী আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। আল্লাহ না করুক, এই হারে চলতে থাকলে এপ্রিল মাসের শেষ থেকে পুরো মে মাস জুড়ে হাজার হাজার এমনকি লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হতে পারে। তখন প্রচুর স্বাস্থ্য সেবা সম্পর্কিত জনবল এর প্রয়োজন হবে।বর্তমানে আমাদের দেশে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সেবা সম্পর্কিত জনবল নেই।আবার অনেক জনকেই কোয়ারান্টাইন এ যেতে হতে পারে।তখন স্বাস্থ্য সেবা সম্পর্কিত জনবল এর তীব্র সংকট দেখা দিতে পারে।
একজন ফার্মাসিস্ট চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার প্রাথমিক জ্ঞানসমূহ সম্পর্কে অবগত। তবুও প্রয়োজনে চিকিৎসকদের দিয়ে গ্র্যাজুয়েড বা আন্ডারগ্র্যাজুয়েড ফার্মাসিস্টদের স্বল্পমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ দিয়ে কম ঝুঁকি সম্পন্ন করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা বা ওষুধ প্রদান সম্পর্কিত সেবায় নিয়োজিত করা সমীচীন হবে। আমার বিশ্বাস দেশের প্রায় কয়েক হাজার ফার্মাসিস্ট বা ফার্মেসীর শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসতে দ্বিধাবোধ করবে না। এই বিষয়ে একটি জাতীয় উদ্যোগ ও পরিকল্পনা এখনই গ্রহণ করা উচিত।আমি এই ব্যাপারে যথাযথ কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
লেখক:সাদেকুর রহমান,
ফার্মাসিস্ট
মুক্তআলো২৪.কম