ঢাকা, ২১ নভেম্বর, ২০২৪ || ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
Breaking:
সশস্ত্র বাহিনী দিবস: শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা     
Mukto Alo24 :: মুক্ত আলোর পথে সত্যের সন্ধানে
সর্বশেষ:
  বাংলাদেশ ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায় : প্রধান উপদেষ্টা        জঞ্জাল পরিষ্কার করে দ্রুত নির্বাচন দিন : মির্জা ফখরুল        শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশে সহায়ক শিক্ষাব্যবস্থা দরকার : ড. মুহাম্মদ ইউনূস     
২১৯৪

বিবিসি বাংলার খবর

অনিশ্চিত এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের ভবিষ্যৎ ?

অনলাইন

প্রকাশিত: ১০ আগস্ট ২০১৪   আপডেট: ১৪ আগস্ট ২০১৪

সৈয়দ আশরাফুল হক, এসিসির প্রধান নির্বাহী

সৈয়দ আশরাফুল হক, এসিসির প্রধান নির্বাহী


অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিল বা এসিসি`র ভবিষ্যৎ । এসিসির মতো বিভিন্ন মহাদেশের আঞ্চলিক ক্রিকেট প্রশাসক সংস্থাগুলোর কর্মকাণ্ড সীমিত করার যে পরিকল্পনা করেছে ক্রিকেটের বৈশ্বিক সংস্থা আইসিসি- তাতে আশংকা তৈরি হয়েছে যে ২০১৫ সালের পর এটি প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাবে কি না।সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুল হক বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, আইসিসির পক্ষ থেকে কুয়ালালামপুরভিত্তিক আঞ্চলিক এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম আস্তে আস্তে সীমিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মি. হক বলেন, ২০১৫ সালের পর হয়তো এসিসি শুধু কাগুজে প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে পারে।
কুয়ালালামপুর থেকে সৈয়দ আশরাফুল হক বিবিসি বাংলাকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, "এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলগুলোতে ক্রিকেটের প্রসারের জন্য যেসব কাউন্সিল রয়েছে, সেগুলোর কর্মকাণ্ড ভবিষ্যতে কমে যাবে এবং এগুলোর সরাসরি নিয়ন্ত্রণ আইসিসির হাতে চলে যাবে।"
মি. হক বলেন, "টেস্ট ক্রিকেট খেলে না - এমন দেশগুলোতে ক্রিকেটের উন্নয়নের যে কাজ এখন এসিসি বা আঞ্চলিক সংস্থাগুলো করছে - ভবিষ্যতে সে কাজটা সরাসরি আইসিসিই করবে।"
এসিসির কার্যক্রম সীমিত করার এই পরিকল্পনা এখন কোন পর্যায়ে আছে এ কথা জিজ্ঞেস করা হলে সৈয়দ আশরাফুল হক বলেন, এটা এখনো আলোচনার পর্যায়ে আছে। তবে আমাদের অনানুষ্ঠানিকভাবে বলা হয়েছে যে এসিসির কর্মকাণ্ড ২০১৫ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে, বাণিজ্যিক চুক্তিগুলোও ২০১৫ পর্যন্ত থাকবে। তার পর কি হবে এটা কেউ জানে না।
তাহলে কি এর পর এসিসি বলে আর কিছু থাকবে না? এ প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আশরাফুল হক বলেন, থাকতে পারে, তবে এখন যে ভাবে আছে সেভাবে থাকবে না, `পেপার প্রতিষ্ঠান` হিসেবে থাকতে পারে। কুয়ালালামপুরে অফিসও না-ও থাকতে পারে।
মি. হক বলেন, যদি তাই হয় তাহলে চীনের মতো যেসব দেশ সবেমাত্র ক্রিকেট খেলা শুরু করেছে - তারা হয়তো অনেক পিছিয়ে যাবে। ২১টি দেশে আমরা ক্রিকেট উন্নয়নের জন্য কাজ করছি, বয়েসভিত্তিক টুর্নামেন্ট করছি, কোচিং করাচ্ছি। এগুলো তখন আর থাকবে কি না আমার জানা নেই।
"তবে এতে কি উপকার হবে তা এখনই আমি বলতে পারছি না " - বলেন মি. হক। তবে তিনি বলেন, গত টি২০ বিশ্বকাপে টেস্ট ক্রিকেট খেলে না এমন যে ৬টি দেশ অংশ নিয়েছিল - তার চারটিই ছিল এশিয়ার দেশ, এবং তাদের উন্নয়নের জন্য এশিয়ান ক্রিকেট বাউন্সিল অনেক বছর ধরে যে কাজ করেছে - এটা ছিল তারই ফল।
এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ক্রিকেট খেলার প্রসার এবং উন্নয়নের জন্য এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল গঠিত হয়েছিল ১৯৮৩ সালে - শুরুতে অবশ্য এর নাম ছিলো এশিয়ান ক্রিকেট কনফারেন্স। এসিসি হচ্ছে এশিয়ার আঞ্চলিক ক্রিকেট প্রশাসক সংস্থা যা আইসিসির অধীন। বাংলাদেশসহ এর সদস্য ২৫টি দেশ।
সৈয়দ আশরাফুল হক বলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা আইসিসির নিয়ন্ত্রণ এখন চলে গেছে মূলত তিনটি দেশের হাতে - ভারত, ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া। এই তিনটি দেশ মনে করছে যে দশটি টেস্ট খেলুড়ে দেশের বাইরে আরো ৮-১০টি দেশ খেললেই যথেষ্ট। এত বেশি দেশ খেলার কোন দরকার নেই, এবং এর জন্য যে অর্থ ব্যয় হচ্ছে তার কোন ফল পাওয়া যাচ্ছে না।
মি. হক বলেন, আইসিসি হয়তো এতগুলো দেশে ক্রিকেট খেলাতে চায় না। কিন্তু ক্রিকেটের বিশ্বায়ন দরকার।
"পৃথিবীর সব দেশ যদি ক্রিকেট না খেলে তা হলে ক্রিকেটকে কিভাবে বৈশ্বিক খেলা বলা যাবে?" বলেন তিনি।

আরও পড়ুন
খেলাধুলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত