ঢাকা, ২১ নভেম্বর, ২০২৪ || ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
Breaking:
সশস্ত্র বাহিনী দিবস: শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা     
Mukto Alo24 :: মুক্ত আলোর পথে সত্যের সন্ধানে
সর্বশেষ:
  বাংলাদেশ ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায় : প্রধান উপদেষ্টা        জঞ্জাল পরিষ্কার করে দ্রুত নির্বাচন দিন : মির্জা ফখরুল        শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশে সহায়ক শিক্ষাব্যবস্থা দরকার : ড. মুহাম্মদ ইউনূস     
২১৪৯

একনেকে ২ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ প্রকল্পের অনুমোদন

মুক্তআলো ২৪.কম

প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০২০  

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ডিপিডিসির আওতাধীন এলাকায় উপকেন্দ্র নির্মাণ ও পূনর্বাসন, বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় ক্যাপাসিটর ব্যাংক স্থাপন এবং স্মার্ট গ্রীড ব্যবস্থার প্রবর্তন প্রকল্পসহ মোট ৫ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ২ হাজার ৫৭০ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে পাওয়া যাবে ১ হাজার ৪৮৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা,বৈদেশিক সহায়তা হিসেবে প্রকল্প সাহায্য ১ হাজার ২ কোটি ৪২ লাখ এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব তহবিল ব্যয় করা হবে ৮২ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে সভায় যুক্ত হন।

বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রকল্পের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি জানান, ডিপিডিসির প্রকল্পের আওতায় ২০২৩ সালের মধ্যে ডিপিডিসির এলাকায় উপকেন্দ্র নির্মাণ ও পূনর্বাসন এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় ক্যাপাসিটর ব্যাংক স্থাপন ও স্মার্ট গ্রীড ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরে শতভাগ বিদ্যুৎ দেয়ার কাজ শেষ হয়ে যাবে। এখন কাজ হচ্ছে গ্রাহকদের কাছে মানসম্পন্ন ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া। তিনি বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য হলো বিদ্যুৎ বিভাগকে আরো বেশি আধুনিকায়ন ও শক্তিশালী করার মাধ্যমে নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা।’

তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অন্তর্ভূক্তিমূলক বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক ও নিরলসভাবে কাজ করছে।
প্রকল্পের আওতায় ১৩২/৩৩ কেভির দু’টি নতুন সাবস্টেশন ও ৩৩/১১ কেভির চারটি সাবস্টেশন স্থাপন,বিদ্যমান তিনটি সাবস্টেশনের সংস্কার ও ক্ষমতা বর্ধন, ৩৩ কেভি জিআইএস সাবস্টেশনের স্থলে ৩৩ কেভি এআইএস সাবস্টেশন স্থাপন, ডিপিডিসির এলাকায় পরীক্ষামুলকভাবে স্মার্ট গ্রীড ব্যবস্থার প্রবর্তন ও ১৫টি সাবস্টেশন ভবন নির্মাণ করা হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্ত্তী ডিপিডিসির প্রকল্পের বিষয়ে বলেন, ঢাকা ও নারায়নগঞ্জের ডিপিডিসির এলাকায় ১ লাখ ১৫ হাজার অতিরিক্ত গ্রহকের বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।

একইসাথে বিদ্যুৎ বিরতণ ব্যবস্থা আরো আধুনিকায়ন ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ক্যাপাসিটর ব্যাংক স্থাপন করা হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘সরকার চাই কোন প্রকল্পে একটি টাকাও যেন অযৌক্তিকভাবে খরচ না হয়। বরং, আমরা চাই যৌক্তিকভাবে বেশি টাকা ব্যয় হোক। কারণ, খরচ কমালে অর্থনীতির স্বাভাবিক গতিধারা ব্যহত হয়। প্রকল্পের ব্যয় যথাপোযুক্ত করার পাশাপাশি যে কোন ধরনের অপব্যবহার যেন না হয়, সেটা নিশ্চিত করা হবে।’

তিনি বলেন, প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া মানে কিন্তু ফাঁকা চেক বা ‘ব্ল্যাক চেক’ দিয়ে দেয়া নয়। বাস্তবায়নকারি সংস্থা, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় নিয়মিত যোগাযোগ রাখে। তিনি বলেন, আমরা প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোন ধরনের খবরদারি করতে চাই না, বরং সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের স্বার্থে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখি।
মান্নান জানান, প্রধানমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত সিনেমা হল মালিকদের সহায়তার জন্য একটি বিশেষ তহবিল গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বাণিজ্যিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কোন কোন সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে, আবার কেউ কেউ সিনেমা হলকে বিপনিবিতানে রূপান্তরিত করেছেন। এখন ক্ষতিগ্রস্ত সিনেমা হল মালিক যদি আবার হল চালু করতে চান বা তার সিনেমার হলের ব্যবসার উন্নয়ন ঘটাতে চান তাহলে তাকে এই তহবিল থেকে ঋণ দেয়া যাবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী দেশে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে গবেষণা আরও বাড়াতে বলেছেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী তরুণদের বেশি করে বিদেশী ভাষা শেখার তাগিদ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তরুনদের কেবলমাত্র বাংলা বা ইংরেজি জানলে হবে না। সঙ্গে ফ্রান্স, জার্মানী,স্পেনিশ এবং চাইনিজ ভাষা শিখতে হবে। তাহলে ফ্রি ল্যান্সিংয়ের কাজ বেশি বেশি পেতে সুবিধা হবে।
একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পসমূহ হচ্ছে- কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও ভ্রুণ স্থানান্তর প্রযুক্তি বাস্তবায়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২০৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা। মহিষ গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা। গ্রামীণ জনগোষ্ঠির উন্নয়নে প্রচার কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন স্টোর স্থাপন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা।বাসস



 


মুক্তআলো২৪.কম

আরও পড়ুন
অর্থ ও বাণিজ্য বিভাগের সর্বাধিক পঠিত