ঢাকা, ২১ নভেম্বর, ২০২৪ || ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
Breaking:
সশস্ত্র বাহিনী দিবস: শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা     
Mukto Alo24 :: মুক্ত আলোর পথে সত্যের সন্ধানে
সর্বশেষ:
  বাংলাদেশ ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায় : প্রধান উপদেষ্টা        জঞ্জাল পরিষ্কার করে দ্রুত নির্বাচন দিন : মির্জা ফখরুল        শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশে সহায়ক শিক্ষাব্যবস্থা দরকার : ড. মুহাম্মদ ইউনূস     
২৪৭১

কবি,লেখক ও সাংবাদিকঃআব্দুস সাত্তার এর-

কিছু কথা না বললেই নয়...(০৩)

ওয়াশিংটন ডিসি থেকেঃ আব্দুস সাত্তার

প্রকাশিত: ১১ জুন ২০১৪   আপডেট: ৬ জুলাই ২০১৪

কবি,লেখক ও সাংবাদিকঃআব্দুস সাত্তার।

কবি,লেখক ও সাংবাদিকঃআব্দুস সাত্তার।

 

আমি আজ যার কথা লিখতে যাচ্ছি তিনি আমেরিকা অঙ্গরাজ্যের ক্যালিফোর্নিয়ার পরিচিত মুখ ডঃ জয়নাল আবদিন। বাংলাদেশ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে পিএইচডি করার জন্য ১৯৭৬ সালে আমেরিকা আসেন। পড়ালেখা শেষ করে ভালো চাকুরী পেলে আর মাতৃভুমিতে ফেরেননি। তারপর ধীরে ধীরে তিনি কমিউনিটি ও মুলাধারার সাথে জড়িয়ে পড়েন। তিনি অনেক কোম্পানিতে উচ্চপদস্থ পদে চাকুরী করেছেন। অবশেষে নিজেই Environmental Engineering, Inc. নামে একটি কোম্পানি খুলেন ২০১০ সালে। বর্তমানে তাঁর কোম্পানিতে এই কাজগুলো করে থাকে, Environmental Site Assessment, Hazardous Materials ManagementAir/Soil/Water Quality Control, ইত্যাদি। এবার আসি মূলধারার কথা তিনি আমেরিকান রাজনৈতিক রিপাবলিকান দলের বিজনেস উপদেষ্টা বাংলাদেশ কমিটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন অনেক দিন। এখনো রিপাবলিকান দলের হয়ে সব ধরনের কাজকর্ম করছেন। আর যদি বাংলাদেশী কমিউনিটির কথা সেখানেও তিনি পিছিয়ে নেই। শুরু থেকেই তিনি কমিউনিটির সাথে জড়িয়ে পরেন। একসময় যোগদেন ফোবানা`র ( ফেডারেশান অব নর্থ আমেরিকা) সাথে। এবং এখনো আছেন।সেই সুবাধে অনেকবার উনার সাথে দেখা হয়েছে কথা হয়েছে। ফোবানা শুরু থেকেই একই নিয়মে চলছে যেমন একেক বছর একেক ষ্টেটে অনুষ্ঠিত হয়। তাই হচ্ছে। আর সেই সুবাধে ডঃ জয়নাল আবেদিন একবার ফোবানা সন্মেলন করেছেন। তারপর কিছু লোকের চেয়ারের লোভে এই ফোবানাকে ভেঙ্গে কয়েক টুকরা করে ফেলেন।  এইভাবেই চলতেছিল কয়েক বছর। ভাগ্যক্রমে ফোবনার এক অংশের সন্মেলন পান আবার ডঃ জয়নাল আবেদিন ২০১৩ সালে। আর দুর্ভাগ্য ক্রমে আমি সেই অংশের মেম্বার সেক্রেটারি। একদিন জয়নাল সাহেব ফোন করে আমাকে বলেন, ফোবানা তো পেলেন তাই ভাবছি কিছু করা যায় কিনা। তিনি প্রথম আমাকে বললেন চলেন আমরা চেষ্টা করি ফোবানা কে একত্রিত করা যায় কিনা। আর সেই দিন থেকেই আলোচনা শুরু হয় এবং দীর্ঘ দিন কথা চালাচালির পর টুকরা করা ফোবানা গুলো একসাথে মিলবে বলে এক চুক্তি স্বাক্ষর হয় যা সবার জন্য ভালো হলে ও ডঃ জয়নাল সাহেবের জন্য একটু ছাড় দিতে হয়েছে। তিনি ফোবানা করতে পারেননি ২০১৩ সালে। ডঃ জয়নাল সাহেব সহ আরও কয়েকজন চুক্তি স্বাক্ষরের অবদানের জন্য এওয়ার্ড পান ফোবানা ২০১৩ সালে টেক্সাসে। আর আমি কি পেলাম? আমার কি কিছু পাবার কথা? কেন পাব? আমি তো মাত্র আলোচনা শুরু করিয়ে দিয়েছি! তাতে কি আসে যায়! কি বলেন? এইটাই তো আমাদের দেশের নিয়ম! তাই না? আমরা লভিং করে কোন মতো বড় নেতা হয়ে গেলে পিছনের কথা আর মনে থাকে না ( তৃণমুলদের কথা মনে থাকে না)। কি ঠিক বলছি না? হয়ত! হয়ত না!! ২০১৩ সালের চুক্তি স্বাক্ষরের মোতাবেক ডঃ জয়নাল আবেদিন ফোবানা সন্মেলন করবেন ২০১৪ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায়। তাই তিনি সংবাদ সন্মেলন করার জন্য চলে আসেন নিউইয়র্ক শহরে। আমি যেহেতু বর্তমান ফোবানা সেন্টাল কমিটির জয়েন্ট সেক্রেটারি তাই যেতেই হলো সংবাদ সম্নেলনে। আর সেই সুবাদে জনাব কনভেনার  ডঃ জয়নাল আবেদিন সাহেবের সাথে দেখা হয়ে গেল আবারো। দেখেই তিনি কোলাকুলি করে বললেন সাত্তার ভাই আমার বই কোথায়। কিছুক্ষন পর জয়নাল ভাইকে বাংলা একাডেমীর অমর একুশের বই মেলা ২০১৩ তে নন্দিতা থেকে প্রকাশিত " জোছনা আসে ফিরে" কাব্য  দিলাম। তিনি ধন্যবাদ দিয়ে বললেন আরও লিখেন সাত্তার ভাই। প্রতি বছর যেন একটা বই পাই।জয়নাল ভাইয়ের মতো একজন বড়মাপের মানুষকে আমার মতো ছেঁড়া কাগজে লেখা একজন লেখকের বই দিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জয়নাল ভাই সাথে ফোবানা সন্মেলন সাফল্য কামনা করছি।

আরও পড়ুন
প্রবাস ভাবনা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত