ঢাকা, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪ || ১৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
Breaking:
আবু সাঈদের পরিবারকে অধ্যাপক ইউনূস : আমাকে রংপুরের একজন উপদেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করুন      আমাদের কাজের কারণেই ফ্যাসিবাদের ফেরার আশঙ্কা বেড়ে গেছে: মির্জা ফখরুল      সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন প্রিয়াঙ্কা     
Mukto Alo24 :: মুক্ত আলোর পথে সত্যের সন্ধানে
সর্বশেষ:
  লন্ডন যাওয়ার আগে ওমরাহ করবেন খালেদা জিয়া        হাসনাত ও সারজিসকে নিয়ে জামায়াত আমিরের স্ট্যাটাস        এবার রাজধানীতেই হাসনাত আবদুল্লাহকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ     
২৮০

তিমির হননের প্রত্যয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রা

মুক্তআলো২৪.কম

প্রকাশিত: ১৪ এপ্রিল ২০২৪  


‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’- এই স্লোগানকে বুকে ধারণ করে, তিমির হননের প্রত্যয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৪৩১ সনের বাংলা নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রা।এবারের শোভাযাত্রার স্লোগানটি কবি জীবনানন্দ দাশের ‘সাতটি তারার তিমির’ কাব্যগ্রন্থের ‘তিমিরহননের গান’ কবিতা থেকে নেয়া হয়েছে। বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রার ৩৫ বছর পূর্তি হলো এ বছর।

রোববার সকাল সোয়া ৯টায় শোভাযাত্রাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে শুরু হয়। এরপর শাহবাগের ঢাকা ক্লাবের সামনে দিয়ে ঘুরে টিএসসি মোড় হয়ে ফের চারুকলার সামনে গিয়ে পৌনে ১০টার দিকে শেষ হয় শোভাযাত্রা।
শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল। শোভাযাত্রায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন স্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। শোভাযাত্রা উপলক্ষে কঠোর নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো ছিল পুরো এলাকা।
শোভাযাত্রা উপলক্ষে সকাল থেকেই টিএসসি, দোয়েল চত্বর, শাহবাগ ও এর আশপাশের এলাকায় মানুষ জড়ো হতে থাকে। সকাল ৯টার মধ্যেই পুরো এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।
শোভাযাত্রা ঘিরে ছিল কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। পুলিশ, র‌্যাবের সঙ্গে ছিল সোয়াত সদস্যরা। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও তৎপর ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে ড্রোনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানস্থল পর্যবেক্ষণ করতে দেখা গেছে।
এবারের শোভাযাত্রার শিল্প-কাঠামোগুলোর মধ্যে ছিল ময়ূর, হাতি, গন্ধগোকুল, টেপাপুতুল। মঙ্গলের বারতা পেঁচা। এছাড়া ছিল পাখি, মাছ, রাজা-রানির মুখোশ।
শোভাযাত্রায় আরও ছিল মা ও শিশু, কাঠঠোকরা ও বাঘের মুখোশ।
বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের অপরিহার্য অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। মিলেছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে ১৯৮৯ সাল থেকে শুরু হয়েছিল মঙ্গল শোভাযাত্রা।
শুরু থেকেই চারুকলার শোভাযাত্রাটির নাম ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ ছিল না। তখন এর নাম ছিল ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। ১৯৯৬ সালে এর নাম হয় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’।

 

 

 

 

মুক্তআলো২৪.কম

 
আরও পড়ুন
জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত