ঢাকা, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫ || ৩০ চৈত্র ১৪৩১
Breaking:
পাসপোর্টে ‘ইসরাইল ব্যতীত’ লেখা পুনঃপ্রবর্তন করলো বাংলাদেশ      আমরা সবাই এক পরিবারের সদস্য: প্রধান উপদেষ্টা     
Mukto Alo24 :: মুক্ত আলোর পথে সত্যের সন্ধানে
সর্বশেষ:
  পহেলা বৈশাখ ঘিরে নিরাপত্তাজনিত কোনো হুমকি নেই : ডিএমপি কমিশনার        শিল্পখাতে গ্যাসের দাম বাড়লো ৩৩ শতাংশ        জাতির আত্মপরিচয়ে পহেলা বৈশাখ এক উজ্জ্বল উপাদান : তারেক রহমান        সেনাপ্রধান সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত     
৩১৪৪

প্রতিদিনের সাধারণ কাজের তালিকা সফল ব্যক্তিদের

অনলাইন

প্রকাশিত: ১০ জুন ২০১৪   আপডেট: ২৭ জুন ২০১৪

সফল মানুষদের প্রতিদিনের জীবনযাপনের সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলো উঠে এসেছে বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণে । মানুষের সফলতা আনতে যে কর্মদক্ষতা প্রয়োজন তা বের করে আনতে অসংখ্য উপদেশ দেওয়া যায়। এদের মধ্যে পারস্পরিক বিরোধিতা রয়েছে। কিন্তু নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গিতে সফল মানুষদের জীবনযাপনের দিকে তাকালে তাদের মধ্যে সাধারণ কিছু কাজের তালিকা পাওয়া যায়। জেনে নিন তাদের এই তালিকা।

*. সকালের প্রার্থনা

ব্যাপক সফল ব্যক্তিরা অনেক সকালে ওঠে যার যার প্রার্থনা করতে। তা ছাড়া নির্দিষ্ট লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এবং তা কার্যকরে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলেই মানুষ সকালে ওঠে। এই দৃঢ় প্রতিজ্ঞা আত্মবিশ্বাস বাড়াতে এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ১৯৯৯ সালে হাওয়াটের এক গবেষণায় বলা হয়, দৃঢ় প্রতিজ্ঞার মানুষরা ৫০ শতাংশ বেশি আত্মবিশ্বাসী থাকে এবং তাদের ৩২ শতাংশের জীবনযাপন নিয়ন্ত্রিত থাকে।

*. গুরুত্বপূর্ণ কাজই সবার আগে

অনেক মানুষ অফিসে পৌঁছেই গুরুত্বপূর্ণ কাজ ফেলে রেখে ব্যস্ত হয়ে যায় মিটিং নিয়ে বা ই-মেইল পাঠানোর কাজে। গবেষণায় বলা হয়, ঘুম থেকে ওঠার আড়াই থেকে চার ঘণ্টা পর মস্তিষ্ক সবচেয়ে দ্রুত হয় এবং সেই সময়টি আমরা ফোনে কথা বলা বা অপ্রয়োজনীয় কাজে নষ্ট করি। এর পর থেকে যত বেশি সময় অতিবাহিত হয়, আত্মনিয়ন্ত্রণের সমস্যা তত বেশি বাড়তে থাকে। এদিকে, নিয়ন্ত্রণহীনতার কারণে যে অপরাধ ঘটে তার সবই প্রায় মাঝরাতের পর ঘটেছে।

*. ধীর হয়ে গেছে গুছিয়ে উঠুন

সকাল থেকে কাজ করতে করতে দুপুরের দিকে দেহ ও মন ধীর হয়ে আসে। তখন সকালের মতো দুপুরের প্রার্থনার কাজটি করতে পারে। হালকা খাবার গ্রহণ করে নিবেন। একটু ঝিমিয়েও নেওয়া যায়। এতে আবার সচল হয়ে উঠবে কর্মক্ষমতা। গবেষকরা দেখেছেন, অধ্যবসায়ী মানুষরা কী কী কাজ করেছে তা আগে চিন্ত করে। তারপর দেখেন আর কী করতে হবে।

*. দুপুরে মিটিং, কল এবং অন্যান্য

সর্বোচ্চ কাজের প্রয়োগ ঘটাতে হলে মানসিক অবস্থার সঙ্গে তাল মেলাতে হবে। যখন মস্তিষ্ক সবচেয়ে পরিষ্কার থাকবে তখন সৃষ্টিশীল কাজ করতে হবে এবং মাথা যখন ঝিমিয়ে আসবে তখন স্রেফ ব্যস্ততাপূর্ণ কাজই করে যাওয়া উচিত।

ম্যাসাচুসেটসের ওরসেস্টার এর ক্লিনিক্যার সাইকোলজিস্ট ডেভিড নাওয়েল বলেন, এডিএইচডি ট্রিটমেন্ট একটি বিষয় রয়েছে যাকে বলা হয় `বডি ডাবল`। কঠিন কোনো কাজ মাথায় না প্রবেশ করলে আপনি তা বাদ দিয়ে  টেবিলটি গুছিয়ে নিলেন বা কাগজগুলো একত্রিত করে আবার কাজ শুরু করলেন। এতে অন্য কাজগুলো বন্ধুর মতো আপনাকে সাহায্য করবে।

*. আরামের বিকেল

যদিও মানুষ সারা দিন কাজ করে, তবে সফলদের দেখা গেছে বিকেলটাকে রিলাক্সভাবে উপভোগ করতে। এতে সারা দিনের ক্লান্তি মুছে যায় এবং নতুন উদ্যম ফিরে আসে। এ ছাড়া ডিনারের আগে আগামীকালের বড় লক্ষ্যগুলো লিখে ফেলতে পারে। দিনের ক্লান্তিকে ঝেড়ে ফেলতে গতানুগতিক পদ্ধিত কাজ নাও করতে পারে। এ জন্য মনের ইচ্ছেটাকে প্রাধান্য দিতে হবে।

আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের মতে, মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো খেলা, প্রার্থণা করা অথবা সামাজিক কাজে যোগ দেওয়া, পড়া, গান শোনা অথবা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া।

সেইসঙ্গে রাতের ঘুমের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। সারাদিনের চিন্তা শেষে ঘুমাতে যাওয়া উচিত। ঘুমের ব্যাঘাতে মনযোগ, স্মৃতিশক্তি, মানসিক অবস্থা ইত্যাদির অবস্থাও খারাপ হয়ে যায়। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার

আরও পড়ুন
ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত