ঢাকা, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪ || ১২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
Breaking:
শপথ নিলেন সিইসিসহ চার নির্বাচন কমিশনার     
Mukto Alo24 :: মুক্ত আলোর পথে সত্যের সন্ধানে
সর্বশেষ:
  গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চলমান রাখতে পারলেই দেশকে এগিয়ে নিতে পারবো: তারেক রহমান        ব্যবসায়ীদের সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসের        রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রীম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির        কক্সবাজারে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শনে আইসিসি`র প্রধান কৌঁসুলি করিম খান        পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিজিবি মোতায়েন     
২১০

প্রয়োজন মনে করলে সরকার কোটার হার পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করতে পারবে :

মুক্তআলো২৪.কম

প্রকাশিত: ১১ জুলাই ২০২৪  

প্রয়োজন মনে করলে সরকার কোটার হার পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করতে পারবে : হাইকোর্ট রায়

প্রয়োজন মনে করলে সরকার কোটার হার পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করতে পারবে : হাইকোর্ট রায়


প্রয়োজন মনে করলে সরকার কোটার হার পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করতে পারবে এবং কোটা পূরণ না হলে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে পারবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে  গত ৫ জুন ঘোষিত হাইকোর্ট রায়ের আজ আংশিক প্রকাশ করা হয়েছে। 
ডেপুটি এটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান বাসসকে এ কথা জানান। 
ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বলেন, বিচারপতি কে.এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চের দেয়া ওই রায়ে বলা হয়েছে, সরকার যদি প্রয়োজন মনে করে তাহলে কোটা রিডিউস (হ্রাস), ইনক্রিজ (বাড়ানো), দ্য রেশিও অব দ্য পার্সেন্টেজ (শতকরা হার) পরিবর্তন-পরিবর্ধন করতে পারে। কোনো পাবলিক পরীক্ষায় যদি কোটা থেকে চাকরিপ্রার্থী না পাওয়া যায়, তাহলে সাধারণ মেধা তালিকা থেকে প্রার্থীর মাধ্যমে তা পূরণ করতে বিবাদীদের (সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ) স্বাধীনতা থাকবে। 
এর আগে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী ও রাষ্ট্র পক্ষের আনা আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ আদেশ দেয়। সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটার বিষয়ে পক্ষগুলোকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ গতকাল কিছু পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনাসহ এ আদেশ দেয়।
এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের  বলেন, আপিল বিভাগ বিষয়টি নিয়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলেছেন। অর্থাৎ, যেমন আছে, তেমন থাকবে। কোটা বাতিল-সংক্রান্ত ২০১৮ সালের পরিপত্রের ভিত্তিতে যে সব সার্কুলার দেয়া হয়েছে, সে ক্ষেত্রে কোটা থাকছে না। আগামী ৭ আগষ্ট বিষয়টি শুনানির জন্য ধার্য্য করা হয়েছে। হাইকোর্টের রায় পেলে নিয়মিত আপিল (সিপি) দায়ের করা হবে।
এটর্নি জেনারেল বলেন, কোটা নিয়ে এখন আর আন্দোলনের যৌক্তিকতা নেই। আদালতের যে কোন রায়ে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে তাকে আদালতে এসেই বলতে হবে। শিক্ষার্থীদের তাদের পড়াশুনায় মনোযোগী হতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। 
সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে ৫ জুন রায় দেয় হাইকোর্ট। ওই রায়ের ফলে সরকারি চাকরিতে  কোটা বহাল হয়।  জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত সরাসরি নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে একটি পরিপত্র জারি করে। সেখানে বলা হয়েছিল, ৯ম গ্রেড (পূর্বতন ১ম শ্রেণি) এবং ১০ম-১৩তম গ্রেড (পূর্বতন ২য় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধাতালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওই পদসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলো। যেখানে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ, উপজাতি ৫ ও প্রতিবন্ধীর ১ শতাংশ কোটা বাতিল করা হয়।
এই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা ৩০ শতাংশ চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলাম তুষারসহ সাতজন হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ৩০ শতাংশ কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট। সে রুল যথাযথ ঘোষণা করে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ বলে গত ৫ জুন রায় দেয় হাইকোর্ট। এই রায়ের বিরুদ্ধে 'রাষ্ট্রপক্ষ' আবেদন করলে ৪ জুলাই পর্যন্ত হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্নাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করে দেয় চেম্বার জজ আদালত। মঙ্গলবার ঢাবির দুই শিক্ষার্থী বিষয়টি নিয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে। 




মুক্তআলো২৪.কম

 
আরও পড়ুন
জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত