ঢাকা, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ || ১ আশ্বিন ১৪৩১
Breaking:
অবিলম্বে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা প্রত্যাহারের দাবি মির্জা ফখরুলের      মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য দেওয়ার আহ্বান জাতিসংঘ ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং দলের     
Mukto Alo24 :: মুক্ত আলোর পথে সত্যের সন্ধানে
সর্বশেষ:
  মহানবী (সা.) এর পুরো জীবনটাই আমাদের জন্য আদর্শ : ধর্ম উপদেষ্টা        যানজট সমস্যার সমাধান খোঁজার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার        একটি মহল অন্তর্বর্তী সরকারকে অনির্দিষ্টকাল ক্ষমতায় রাখতে চায়        চোরাচালান প্রতিরোধে কোস্টগার্ডকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার        আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ ২২৮ জনের বিরুদ্ধে ৫ অভিযোগ     
৭৫

বাংলাদেশের ব্যাংকিং ও রাজস্ব খাত সংস্কারে সহায়তা করতে আগ্রহী

মুক্তআলো২৪.কম

প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট ২০২৪  

বাংলাদেশের ব্যাংকিং ও রাজস্ব খাত সংস্কারে সহায়তা করতে আগ্রহী যুক্তরাজ্য

বাংলাদেশের ব্যাংকিং ও রাজস্ব খাত সংস্কারে সহায়তা করতে আগ্রহী যুক্তরাজ্য


যুক্তরাজ্য পুঁজিবাজারের পাশাপাশি বাংলাদেশকে  ব্যাংকিং ও রাজস্ব খাত সংস্কারে সহায়তা করতে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে।অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদের সাথে তার আজ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কার্যালয়ে বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক সাক্ষাত করতে এলে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।

বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের ব্যাংকিং, রাজস্ব ও পুঁজিবাজারের মতো খাতে সংস্কারে সহায়তা করতে ইচ্ছুক।
বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এগুলো আমাদের জন্যও খুব তাৎক্ষণিক উদ্বেগের বিষয়। কারণ, যদি আমরা সেই সংস্কারগুলো না করি তাহলে এটা আমাদের জন্য কঠিন হবে।’
উপদেষ্টা বলেন, তারা দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ে ও আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি হোক। যুক্তরাজ্য সরকার অতীতেও খুবই সহায়ক ছিল এবং আমি আশা করি আগামী দিনেও তারা সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। আমরা তাদের সাহায্য ও সহযোগিতার অপেক্ষায় আছি।’
অর্থ উপদেষ্টা এবং ব্রিটিশ দূত বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে সহযোগিতা নিয়ে ও আলোচনা করেন।
যুক্তরাজ্য মূলত অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করছে উল্লেখ করে ড. সালেহ উদ্দিন আরো বলেন, ‘আমরা সেগুলোও চালিয়ে যাব। বেসরকারি খাতের বিনিয়োগও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্রিটেনের বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এখানে বিনিয়োগ করেছে।’
উপদেষ্টা বলেন, তিনি বাংলাদেশ থেকে আমদানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে বলেছেন। কারণ, তার দেশ মূলত যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় দেশগুলোতে আরএমজি পণ্য রপ্তানি করে।
তিনি আরও বলেন, বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশকে ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করতে হবে।
তিনি বলেন, এর জন্য শর্ত হলো ‘ব্যবসার পরিবেশ তৈরি করতে হবে, ব্যবসা সহজ করতে হবে অর্থাৎ আমাদের ব্যবসা করার পরিবেশ ঠিক করতে হবে। তা না হলে বেসরকারি খাত আসবে না।’
আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে উল্লেখ করে ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে অত্যন্ত শক্তিশালী অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ সম্পর্ক রয়েছে।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, ‘আমরা আমাদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক প্রসারিত করতে খুবই আগ্রহী এবং আমরা আলোচনা করেছি যে কীভাবে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংস্কারকে সমর্থন করতে পারে। কীভাবে আমরা যৌথভাবে আমাদের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে অর্থনৈতিক সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে একত্রে কাজ করতে পারি, কীভাবে আমরা দুই দেশের মধ্যে আমাদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়াতে পারি এ নিয়ে আলোচনা করেছি।’
যুক্তরাজ্য থেকে আরও সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ আনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের অত্যন্ত শক্তিশালী অংশীদারিত্ব রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের একটি খুব শক্তিশালী এবং বিনিয়োগের পরিবেশ রয়েছে। অবশ্যই, আমরা বাংলাদেশে আরও সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ দেখতে চাই।’
ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীরা নিশ্চিতভাবে দায়িত্বশীল বিনিয়োগকারী এ কথা উল্লেখ করে দূত বলেন, ‘আমি উপদেষ্টার সাথে আলোচনা করেছি কীভাবে আমরা বিনিয়োগকারীদের আস্থা তৈরি করতে পারি এবং আমাদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদার করতে পারি।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সারাহ কুক বলেন, বাংলাদেশ যে অর্থনৈতিক সংস্কারকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে এবং যুক্তরাজ্য এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে কীভাবে সহায়তা করতে পারে সে বিষয়েও তিনি আলোচনা করেছেন।





মুক্তআলো২৪.কম

 
আরও পড়ুন
অর্থ ও বাণিজ্য বিভাগের সর্বাধিক পঠিত