ঢাকা, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ || ১৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
Breaking:
বাংলাদেশে নতুন গ্যাস অনুসন্ধানে বিনিয়োগ পরিকল্পনা শেভরনের      প্রধান উপদেষ্টা কাল সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন     
Mukto Alo24 :: মুক্ত আলোর পথে সত্যের সন্ধানে
সর্বশেষ:
  সীমান্তে যে কোনো ধরনের অপতৎপরতা রোধে বিজিবি প্রস্তুত : বিজিবি সদর দপ্তর        আঞ্চলিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান তারেক রহমানের        ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে স্থিতিশীল গঠনমূলক সম্পর্ক চায় : ভার্মা     
২১০২

ভারতের অধিকাংশ দলের প্রত্যাখ্যান বুথ-ফেরত সমীক্ষাকে

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪ মে ২০১৪   আপডেট: ১৫ মে ২০১৪

ভোটের প্রকৃত চিত্র বোঝার জন্য ১৬ মে ভোটের ফলাফল প্রকাশের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছে দলগুলো।কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, বামফ্রন্টসহ ভারতের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল লোকসভা নির্বাচনের বুথ-ফেরত সমীক্ষা প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে ওই সমীক্ষাকে স্বাগত জানিয়ে এর বিরোধীদের তা মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিজেপি।

লোকসভা নির্বাচনের নয় পর্বে ভোট গ্রহণ শেষে সোমবার রাতেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের পরিচালিত বুথ-ফেরত জনমত জরিপ প্রকাশ করা হয়৷ প্রায় সব জনমত জরিপে উঠে এসেছে, বিজেপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) এবার সরকার গঠন করছে। প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন বিজেপির নেতা ও গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক দিগ্বিজয় সিং প্রশ্ন তুলেছেন, দেশের ৮০ কোটি ভোটারের মধ্যে মাত্র কয়েক লাখ ভোটারের মতামত নিয়ে সমীক্ষা করলে কি প্রকৃত ফলাফলের ইঙ্গিত মেলে?ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ বলেন, ‘বুথ-ফেরত সমীক্ষা দেখে বিজেপির উত্সব করা কি মানায়? ২০০৯ সালে এই সমীক্ষা দেখে বিজেপি উত্সব করেছিল। কিন্তু ফল কী হয়েছিল?’

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ বলেছেন, ‘বুথ-ফেরত সমীক্ষা যা বলেছে, তার চেয়ে অনেক ভালো ফল করবে কংগ্রেস।’ তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় বলেছেন, ‘বুথ-ফেরত সমীক্ষার চেয়ে অনেক ভালো ফল করবে তৃণমূল।বামফ্রন্টও সমীক্ষাকে আমল না দিয়ে বলেছে, ‘এই সমীক্ষার ফলাফলের চেয়ে দেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক দল আরও ভালো ফলাফল করবে।’

এদিকে বুথ-ফেরত সমীক্ষাকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যসভার বিরোধীদলীয় নেতা ও বিজেপির সাংসদ অরুণ জেটলি এবং বিজেপির নেতা মুখতার আব্বাস নকভি। এই ফলাফলের ইঙ্গিতকে মেনে নিয়ে কংগ্রেসকে লোকসভায় বিরোধী আসনে বসার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। বিজেপির নেতা শাহ নেওয়াজ হুসেন বলেছেন, ‘আমরা নিশ্চিত, বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে।’

আম আদমি পার্টির নেতা যোগেন্দ্র যাদব বলেছেন, ‘মানুষ পরিবর্তন চাইছে। বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের মধ্যে সেই বিশ্বাস তৈরি করতে পেরেছেন।’

মুলায়ম সিং যাদবের সমাজবাদী পার্টির মুখপাত্র নরেশ আগরওয়াল বলেছেন, ‘বুথ-ফেরত সমীক্ষা সব সময় তৈরি করা হয়। নরেন্দ্র মোদি কখনো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না।’ জনতা দল (সংযুক্ত) ও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার বলেছেন, ‘২০০৪ ও ২০০৯ সালের বুথ-ফেরত

সমীক্ষার ফলাফল থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। আমাদের উচিত ১৬ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করা।’ জম্মু ও কাশ্মীরের ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা এবং জম্মুু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘শুধু সময় কাটাতে এসব কথা। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত।’

প্রসঙ্গত, গত ১৯৯৮, ১৯৯৯, ২০০৪ এবং ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় যে বুথ-ফেরত সমীক্ষা করা হয়েছিল, তার সঙ্গে নির্বাচনের ফলাফল মেলেনি। এবারও তাই অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এই বুথ-ফেরত সমীক্ষাকে প্রত্যাখ্যান করে ১৬ মের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছে।

 

আরও পড়ুন
আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত