ঢাকা, ২১ নভেম্বর, ২০২৪ || ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
Breaking:
সশস্ত্র বাহিনী দিবস: শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা     
Mukto Alo24 :: মুক্ত আলোর পথে সত্যের সন্ধানে
সর্বশেষ:
  বাংলাদেশ ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায় : প্রধান উপদেষ্টা        জঞ্জাল পরিষ্কার করে দ্রুত নির্বাচন দিন : মির্জা ফখরুল        শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশে সহায়ক শিক্ষাব্যবস্থা দরকার : ড. মুহাম্মদ ইউনূস     
২২৮৯

সুপার সাইক্লোন `আম্ফান সঙ্গে জরুরী সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা

মোঃ সরোয়ার জাহান

প্রকাশিত: ১৯ মে ২০২০  


প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিত চক্রে ভয়াল শক্তিতে ধেয়ে আসছে সুপার সাইক্লোন 'আম্ফান'। এমন একটি সময়ে যে সময়টিতে বাংলাদেশ করোনাভাইরাসের করালগ্রাসে পর্যুদুস্ত হয়ে পড়েছে। তাকে প্রতিহত করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করছে বাংলাদেশ সরকার। যেখানে ব্যয় হচ্ছে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সম্পূর্ণ সক্ষমতাই।

যদিও প্রতিবছরই এপ্রিল-মে মাসে বঙ্গোপসাগরে এক ধরনের লঘুচাপ তৈরি হয়। আর সেই লঘুচাপ পরিণত হয় ভয়ঙ্কর ঘুর্ণিঝড়ের।যদিও বিগত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ সামুদ্রিক ঝড় মোকাবেলায় বর্তমানে বিশেষ সক্ষমতা অর্জন করেছে। সমস্ত উপকূল অঞ্চলে পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার তৈরি করা হয়েছে।মানুষের মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে শেখ হাসিনার সরকার।

অবিশ্বাস্য গতিতে বিধ্বংসী ক্ষমতার সাইক্লোন 'আম্ফান'আঘাত হানতে পারে বাংলাদেশের স্থলভাগের সুন্দরবন অংশ দিয়ে। আজ মঙ্গলবার শেষ রাতের দিকে কিংবা আগামীকাল বুধবার আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।এই মধ্যবর্তী সময়ের মধ্যে খুলনা ও চট্টগ্রাম উপকূলীয় মধ্যবর্তী অংশ দিয়ে বাংলাদেশ উপকূলীয় অঞ্চল অতিক্রম করার আশঙ্কা করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আম্ফান উপকূলে ধেয়ে আসার পেক্ষাপটে প্রায় ১২ হাজার৭৮ টিআশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ২১ লক্ষ মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। 

কিন্তু এইবারে বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিন্ন করোনার কারণে এই সময়ে সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিতে আসা মানুষের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টিও ভীষণভাবে জরুরি হয়ে পড়েছে। তার পাশাপাশি অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাটা ও একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

যদি এই বিষয়টি আমরা মেনে না চলি তাহলে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে মানুষের মধ্যে সংক্রমণের সংখ্যা যেমন বেড়ে যেতে পারে। ঠিক তেমনি  তাদের পূর্নবাসনের ব্যবস্থা করা একটা নতুন চ্যালেঞ্জের অবতারণা হতে পারে। তাই আমাদের যতদুর সম্ভব সাইক্লোন শেল্টার গুলোতে সামাজিক বিধি গুলো মেনে চলার যথাসাধ্য চেষ্টা করে যেতে হবে। তাহলেই গত দিনগুলোতে যে কোন বিপর্যয় আমরা যেমন সফলতার সহিত মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি এবার এই বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় 'আম্ফান'এর সকল বিপর্যয় সাফল্যের সঙ্গে মোকাবেলা করতে পারবো বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি বিশ্বাস করি বর্তমান সরকার এই দুর্যোগ সাফল্যের সঙ্গে মোকাবেলা করবেন ।আসুন আমরা সাইক্লোন সেন্টারের যাই এবং যথাসাধ্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করি।


মুক্তআলো২৪.কম

আরও পড়ুন
সম্পাদকীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত